সিন্ধ দেশের থাট্টা এক ঐতিহাসিক জায়গা। এই প্রাচীন বন্দর শহরই সিন্ধীদের ইষ্টদেবতা ঝুলেলাল এর জন্মস্থান। এই শহরে, ১৬১৪ সনে এসে পৌঁছান আর্মেনীয় বাবা-মা এর সন্তান, জন্মসূত্রে ইহুদী, ব্যবসায়ী সরমদ। আর তারও ৮ বছর পরে আসেন শাহজাদা খুররাম (পরে বাদশাহ শাহজাহান) শরণ নিতে, তাঁর পিতা জাহাঙ্গীর এর হাত থেকে বাঁচতে। কালে আওরংজেবও আসেন সিন্ধের শাসনকর্তা হিসেবে। থাট্টাই কি জড়িয়ে দিয়েছিলো এঁদের ভাগ্য একসাথে? কে জানে!
থাট্টাতে সরমদ এসেছিলেন ব্যবসা করতে আর এসেই এক অদ্ভুত সুন্দর দেখতে যুবক অভয়চন্দকে দেখে তাঁর প্রেমে পাগল হয়ে যান। কেউ বলে অভয়চন্দকে তিনি পড়াতে গেছিলেন তাঁদের বাড়ি। কেউ বলে তিনি গান শুনেছিলেন অভয়চন্দ এর। কি করে তাঁদের দুই চক্ষুর মিলন হয়েছিল কেউ ঠিক করে না জানলেও, তাঁদের সাক্ষাৎ দুজনের জীবনকেই চিরতরে বদলে দেয়। ইতিমধ্যে সরমদ এর কবিতার খ্যাতি দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে কিন্তু অভয়চন্দকে ছাড়া তাঁর সবই বৃথা মনে হয়। দুজনে একসাথে থাকতে শুরু করেন কিন্তু অভয়চন্দ এর পরিবারের লোকজনের এতে আপত্তি ছিল। অভয়চন্দ এর বাবা তাঁকে জোর করে দূরে নিয়ে যান। না সরমদ এর ভালোবাসা সাধারণ ছিল, না বিরহ। তিনি অভয়চন্দের বিচ্ছেদে পার্থিব সবকিছুর সাথে বিচ্ছেদ করে ফেলেন। হয়ত ভেবে নেন, অভয়চন্দ না কাছে এলে, আর কিছুকেই তিনি কাছে আসতে দিতে পারবেন না। জামা-কাপড়ও আর তাঁর দেহের কাছাকাছি আসে না। সরমদ, যিনি বিভিন্ন ভাষার পন্ডিত, ধর্মজ্ঞ, কবি, তিনি রাস্তায় রাস্তায় উন্মাদের মতো ঘুরে বেড়ান। অভয়চন্দ এর বাবাকে এই দৃশ্য গভীরভাবে আঘাত করে এবং তিনি অভয়চন্দকে অনুমতি দেন সরমদ এর সঙ্গে চলে যাবার। আর ঠিক সেই মিলন এর মুহূর্ত থেকে সারা জীবনে একবারও সরমদ, তাঁর প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি অভয়চন্দ এর দূরে থাকেন নি। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত না।
আমি এই একবিংশ শতকের নাগরিক, অভয়চন্দ এর বাবার চরণে শতকোটি প্রণাম জানাই। তিনি ভালোবাসাকে, জাতি, ধর্ম, লিঙ্গের উর্ধে উঠে ভালোবাসার সম্মান দিতে পেরেছিলেন। সেই ঘটনার ৪০০ বছর পেরিয়ে গেছে। আজও আমরা অভয়চন্দ এর বাবার মানসিক উচ্চতাকে ছুঁতে পারিনি।
সরমদ জন্মেছিলেন ইরান এর কাসান শহরে, তাই তিনি সরমদ কাসানী। জিসাস অফ নাজারেথ এর মতো সরমদ অফ কাসান। দুজনেই জন্মসূত্রে ইহুদি।
ভারতবর্ষ থেকে আর্মেনিয়ার দূরত্ব কতটা? কেউ আন্দাজ করার চেষ্টা করবেন? ও হ্যাঁ, আর্মেনিয়া হলো সেই দেশটা যেটা আজারবাইজান এর সীমান্তের বেশ কাছাকাছি অবস্থিত। আজারবাইজান এর নাম শোনেন নি? আচ্ছা, তুর্কি দেশটা তো নিশ্চয় জানেন। আর্মেনিয়া তার পশ্চিম সীমার কাছের দেশ। খুবই প্রাচীন দেশ আর্মেনিয়া। খ্রিষ্টপূর্ব ৬০১ সনে এর নামকরন হয় এবং সেই নাম এখনো চলছে।
যে সব বাঙালি সহজপাঠ পড়েছেন তাঁরা অবশ্য বেশ কম বয়েসেই দেশটার নাম শুনে ফেলেন, কারণ রবি ঠাকুর "আর্মেনিয়ার গীর্জার ঘড়িতে ঢং ঢং করে" ক'টা বাজলো তা পাঠককে জানানোর সাথে সাথে দেশের নামটাও জানিয়ে দেন। আর সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন যে ওই দেশটার লোক কলকাতায় আছে! আর্মেনিয়ার গির্জার মতো, সরমদ নামের এই আর্মেনিয়ান মানুষটিরও যোগাযোগ আছে রবি ঠাকুরর সাথে!
১৯৫০ সালে, অর্থাৎ ইনি মারা যাওয়ার ২৯০ বছর পর যখন ইংরেজী ভাষায় প্রথম বার এঁর রুবাইয়াৎ প্রকাশ পায়, সেটি ছাপা হয় রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতন থেকে। কৌতূহল জাগিয়ে গুরুদেব খালাস! এদিকে আমি ভেবেই পাই না এতদূর থেকে মানুষ হেঁটে হেঁটে বা ঘোড়ায় চড়ে কত বছরে পৌঁছাতো! একবার খোঁজ লাগিয়ে (পড়ুন, গুগল করে) দেখেছিলাম, আমাদের দেশে, ৭৮০ সন থেকে আর্মেনিয়ানরা নিয়মিত ব্যবসা করতে আসছেন স্থলপথে, যদিও গ্রিক সাহিত্যে ভারতের সাথে আর্মেনিয়ার ব্যবসা বাণিজ্যের কথা বলা আছে ৪৫০-৩৫৫ খ্রিষ্টপূর্ব এর সময়কালেও । আর্মেনিয়ার সাথে ভারতের দূরত্ব ৪০০০ কিলোমিটার এর কিছু কম। ভাস্কো দা গামার ভারত আগমন এর ৭০০ বছর আগেই টমাস কানা নামের এক ব্যবসায়ী কেরালার সঙ্গে নিয়মিত ব্যবসা বাণিজ্য করতে শুরু করে দেন।
১৯৫০ সালে, অর্থাৎ ইনি মারা যাওয়ার ২৯০ বছর পর যখন ইংরেজী ভাষায় প্রথম বার এঁর রুবাইয়াৎ প্রকাশ পায়, সেটি ছাপা হয় রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতন থেকে। কৌতূহল জাগিয়ে গুরুদেব খালাস! এদিকে আমি ভেবেই পাই না এতদূর থেকে মানুষ হেঁটে হেঁটে বা ঘোড়ায় চড়ে কত বছরে পৌঁছাতো! একবার খোঁজ লাগিয়ে (পড়ুন, গুগল করে) দেখেছিলাম, আমাদের দেশে, ৭৮০ সন থেকে আর্মেনিয়ানরা নিয়মিত ব্যবসা করতে আসছেন স্থলপথে, যদিও গ্রিক সাহিত্যে ভারতের সাথে আর্মেনিয়ার ব্যবসা বাণিজ্যের কথা বলা আছে ৪৫০-৩৫৫ খ্রিষ্টপূর্ব এর সময়কালেও । আর্মেনিয়ার সাথে ভারতের দূরত্ব ৪০০০ কিলোমিটার এর কিছু কম। ভাস্কো দা গামার ভারত আগমন এর ৭০০ বছর আগেই টমাস কানা নামের এক ব্যবসায়ী কেরালার সঙ্গে নিয়মিত ব্যবসা বাণিজ্য করতে শুরু করে দেন।
এটা অবশ্য আর্মেনিয়ার সাথে ভারতের সম্পর্কের গল্প নয়। এটা এক আর্মেনিয়ান ও এক ভারতীয়র ভালোবাসার গল্প। আর সেই আর্মেনিয়ান এর নাম সরমদ। তিনি এই রকমই এক ব্যবসায়ী ছিলেন, যিনি হাজার তিনেক কিঃমিঃ পেরিয়ে তখনকার ভারতে (এখনকার পাকিস্তান এ ) এসেছিলেন।
সরমদ এর জন্ম ১৫৯০ সালে হয় নাকি ১৬১৮ তে সে নিয়ে কিছু মতবিরোধ আছে। আমি ১৫৯০ ই বলবো কারণ ১৬৬০/৬১ সালে যখন সরমদ এর মৃত্যদণ্ড হয় তখন তাঁর বয়স ছিল ৭০ প্রায়। এই মৃত্যু এমনই ঘটনা যা সরমদকে "দ্বিতীয় হাল্লাজ" বা হাল্লাজ ই থানি র উপাধি প্রদান করে।হ্যাঁ, সেই মানসুর আল হাল্লাজ, যিনি "অন অল হক " (আমিই পরমসত্য! আমিই ঈশ্বর!) বলেছিলেন বলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। হাল্লাজ এর সাথে তুলনা কেন? দুজনেরই ধর্মের ধারক বাহকদের নির্দেশে মৃত্যু হয়েছিল বলে? নাকি দুজনেই তাঁদের বিচারকর্তাদের থেকে ইতিহাসের পাতায় অনেক উঁচুতে স্থান পেয়েছেন বলে? আমি তা বলার কে? আমি তো খালি তাঁর অত্যাশ্চর্য জীবনের কাহিনী বলতে বসেছি এখানে।
সিন্ধ এর থাট্টাতে এসে পৌঁছানোর আগেই ইহুদী সরমদ, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। আর তারও আগে ইহুদী ধর্মের সমস্ত "তোরা" মুখস্থ করে ফেলেন এবং ইহুদী রাবাই এর সমকক্ষ সম্মান পান। অর্থাৎ ২৪ বছর বয়েসের আগেই সরমদ দু-দুটি ধর্মের বিষয়ে অগাধ পড়াশোনা করেন। বলা হয়, সরমদ শেষ জীবনে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন বা হিন্দু ধর্মের অনুরাগী হয়ে ওঠেন। সমস্ত ধর্মেই সরমদ খুঁত পেয়েছিলেন। কোনো ধর্মই সরমদকে সম্পূর্ণভাবে ছুঁতে পারেনি।
অভয়চন্দ
এর পরিবার তাঁদের অনুমতি দেবার পর, অভয়চন্দ আর সরমদ এর পর থাট্টা ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন একসাথে। লাহোর প্রথমে, তারপর দক্ষিণ (হায়দরাবাদ এলাকা), আর শেষে দিল্লি। ৩০০ রুবাই লেখেন সরমদ। রুবাইতে তিনি ওমর খাইয়াম এর ধরণ অনুসরণ করতেন আর গজল এ হাফিজ সিরাজীর। লাহোরে থাকাকালীন, সরমদ বহু কবিতা রচনা করেন, সেগুলি অভয়চন্দ তাঁর সুন্দর গলায় গেয়ে শোনাতেন। অভয়চন্দ ও সরমদ দেশে দেশে ঘুরে বেড়াবার সময়কার বেশ কিছু আঁকা ছবি পাওয়া যায় তাঁদের একসাথে। এক নগ্ন ফকির এর সাথে এক অপূর্ব সুন্দর যুবকের ছবি! আর এই অদ্ভুত জুটি এক অদ্ভুত সময়ে দিল্লি এসে পৌঁছান। দিল্লিতে তখন শাহজাহান বাদশাহর সূর্য প্রায় অস্তাচলে। ছেলেদের মধ্যে বিরোধ আর চাপা থাকছে না। আবার ঠিক এই সময়ই রাজপুত্র দারাহ সিকোহ "মজমা উল বাহরাইন" (দুই সমুদ্রের মিলন) লিখছেন, বেদ আর সুফী দর্শন এর মধ্যে মিল দেখাতে।
সরমদ এর খ্যাতি খুব তাড়াতাড়ি এই জ্ঞান-পিপাসু রাজপুত্রের কানে পৌঁছে যায় এবং রাজপ্রাসাদে আসা যাওয়া শুরু হয় এই সুফী ফকির এর। শোনা যায়, শুধু রাজপ্রাসাদে তর্ক ও আলোচনা করতে ঢোকার সময় তিনি কোমরে ছোট একফালি কাপড় জড়িয়ে নিতেন। দারাহ এঁকে নিজের গুরু ও শিক্ষক বলতেন। সরমদ এর ভবিষ্যৎবাণী খুব সঠিক বলে মনে করতো দিল্লির মানুষজন, শুধু দারাহ র জয় সম্পর্কে করা ভবিষ্যৎবাণী ফলে নি।
ইতিহাস পড়া আমরা জানি যে আওরংজেবই জেতেন সেই সামুগড় এর যুদ্ধ এবং পরে পরাজিত দারাহকে বন্দী, অপমানিত, ও হত্যা করা হয়। যে ছোটভাই মুরাদ বক্স এর সাহায্যে আওরংজেব এই যুদ্ধ যেতেন, তাকেও ৩ বছরের মধ্যেই মেরে ফেলেন আওরংজেব। এমতাবস্থায় সমস্ত শুভান্যুধায়ীরা সরমদকে দিল্লি ছেড়ে চলে যেতে অনুরোধ করেন। তাঁরা জানতেন, আওরংজেব কখনোই এই নগ্ন ফকিরকে দিল্লিতে সহ্য করবেন না। দারাহ র সমস্ত চিহ্ন মেটাতে তিনি বদ্ধ পরিকর। আর সরমদ এর পাগলের মতো "লা ইলাহা" আওড়াতে আওড়াতে দিল্লীর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো তাঁকে এক অমূল্য সুযোগ এনে দেয়।
এর আগে অবশ্য আরেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে। আওরংজেব একদিন লাল কেল্লা থেকে জামা মসজিদ যাচ্ছিলেন নামাজ পড়তে। তখনতিনি রাস্তায় দেখতে পান সরমদ নগ্ন অবস্থায় বসে আছেন। আওরংজেব তাঁকে বলেন, “ আপনার লজ্জা করে না? শরিয়া নগ্নতা ঢেকে রাখতে বলে! জোরে হেসে ওঠেন সরমদ ! বলেন, "আহা! তোর লজ্জা লাগছে বুঝি? তাহলে ওই যে কম্বল পড়ে আছে মাটিতে, দে না উঠিয়ে আমার গায়ে..." আওরংজে এগিয়ে সেই কম্বল ওঠাতেই তার ভেতর থেকে গড়িয়ে আসে তাঁর ভাইদের কাটা মুণ্ড! যেন সদ্য শিরোচ্ছেদ হয়েছে! চমকে সরে যান বাদশাহ! আরও জোরে হেসে ওঠেন সরমদ! "কার লজ্জা ঢাকা উচিত রে? তোর না আমার?" এমন অপমান মেনে নেবার লোক আওরংজেব নন, অথচ সরমদকে স্পর্শ করে তিনি জনতাকেও আর চটাতে চান না। তিনি ধর্মগুরুদের কোর্ট এ বল ঠেললেন।
ধর্মগুরুরা এমনিতেই চটে ছিলেন! কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, সরমদ আজকাল রামভক্ত হিন্দু হয়েছেন! ইহুদী থেকে মুসলমান আবার মুসলমান থেকে হিন্দু!! আর সেই সঙ্গে সরমদ এর সেই অদ্ভুত কীর্তি! "লা ইলাহা" বলতে বলতে ঘুরে বেড়ান সারা দিল্লি! মুসলমান হতে গেলে কলমা পড়তে হয়, "লা ইলাহা ইল্লালাহ / মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ" অর্থাৎ "নেই কোনো ভগবান আল্লাহ ব্যতীত এবং মুহাম্মদ তাঁর রসূল/দূত"! "লা ইলাহা" তে থেমে গেলে দাঁড়ায় "নেই কোনো ভগবান"! এ তো নাস্তিক এর কথা! ডাকা হোক তবে সরমদকে বিচারসভায়! কাজী বলেন, "কই হে সরমদ পুরো কলমা পড়ো!" , সরমাদ বলেন, "কি করে পড়ি? এখনো যে না থেকেই বেরোতে পারিনি! হ্যাঁ অবধি পৌঁছাবো, তবে তো বলবো বাকিটা! হৃদয় যদি না পড়তে পারে, মুখ দিয়ে পড়ে লাভ কি?" সরমদকে কলমা পড়াতে ধরে নিয়ে আসা হলো অভয়চন্দকে। তাঁর ঘাড়ে পিঠে বেতের বাড়ি পড়ে! সব দাগ ফুটে ওঠে সরমদ এর গায়ে। ব্যাথায় ছটফট করেন কিন্তু পারেন না "লা ইলাহা" থেকে এগোতে। সরমদের শিরোচ্ছেদের হুকুম দেওয়া হয়।
১৬৭০ সন। জামা মসজিদ এর সিঁড়িতে শিরোচ্ছেদ হবে সরমদ এর। খোলা তলোয়ার হাতে সৈনিককে তাঁর দিকে এগিয়ে আসতে দেখে সরমদ বলে উঠলেন,
رسيد
يار عريان تيغ اين دم ** به ھر رنگی که آيی تورا ميشناسم
“এসেছো তুমি খোলা তলোয়ার হাতে প্রিয়তম
যে কোনো বেশে চিনে নেবো তোমায়
তুমিই চির সুন্দরতম....”
A painting of Sarmad by Sadequain |
সরমদ এর শিরোচ্ছেদ হবার পরে ফকির নিজের মাথা নিজের হাতে তুলে নেন এবং নটরাজ এর মতোই নেচে ওঠেন এক অদ্ভুত কৌতুকে! এই দৃশ্যের বর্ণনা বহু শিল্পীকে বহু বার অনুপ্রাণিত করেছে। এই উপমহাদেশ এর নামকরা আঁকিয়ে সাদিকেন আহমদ নাকভি তাঁর বহু পেইন্টিং এ এই দৃশ্য নানা ভাবে বর্ণনা করেছেন।
সরমদ শহীদ হয়ে গেলেন। কিন্তু, অভয়চন্দ এর কি হলো? তাঁর খবর কেউ
জানে না। "দিলবালো কি দিল্লি" ভালোবাসার প্রতি বিমুখ ছিল না, কিন্তু। বিভিন্ন ভালোবাসার মানুষদের দিল্লি পাশাপাশি শুয়ে থাকতে দিয়েছে মৃত্যুর পর। কিন্তু অভয়চন্দ এর ক্ষেত্রে তা হলো না। সরমদ এর কবর এর পাশে অভয় এর স্থান হয় নি। কেন? অভয় কি চিতায় যেতে চেয়েছিলেন? অভয় কি সরমদ এর দুঃখে পাগল হয়ে দিল্লি ছেড়ে চলে গেছিলেন? কেউ
জানে না সে কথা। সরমদের ভালোবাসায় অমর অভয়, এর পর যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেলেন... যে পৃথিবীতে সরমদ নেই, সেই পৃথিবীতে অভয় এর নামও আর শোনা যায় নি।
Sohail Hashmi was the man behind my interest in Sarmad. I heard about Sarmad in one of his walks a few years ago. Sohail's contribution to preserving Delhi's history and heritage is invaluable!