কখনো কখনো দশমীর আগেই বিসর্জন হয়ে যায়।
কোনো কোনো পুজো ভালো যাবে না ঠিক করেই আসে,
দেবীর ঘোটক এ আগমন, দোলায় গমন।
অনেক সময় চূড়ায় পৌঁছবার ঠিক আগের মুহুর্তে পা পিছলায় অভিযাত্রীর
যা ছিল প্রায় হাতের মুঠোয় এক নিমেষে সরে যায় কয়েক শ' ফুট
চোখের দেখা আর হাতের ছোঁয়ার মধ্যে আসল ব্যবধান লক্ষ যোজন।
বিয়ের রজত জয়ন্তী পালনের আহ্লাদ এ জল ঢেলে,
সাড়ে চব্বিশ এই মজুমদার গিন্নি চলে যান অনেক দূরে।
কখনো কখনো বিসর্জন, দশমীর অপেক্ষা করে না।
পাহাড়, খালি মাঠ আর ঘরের উঠোন, তখন অপেক্ষা করে
আরেক অভিযাত্রীর, আরেক দূর্গার, অন্য দুটো ছোট্ট পায়ের
ওরা জানে জীবন চলে।
তুমি ছেড়ে দিলে হাল অন্য কেও ধরে।
তোমার পুজোর ঢাকের কাঠি হারিয়ে গেলেও,
অন্য শহরে বাজনা বাজে। সে বাজনা শুনতে জানতে হয়।
জীবন বলে, যৌথ রজত জয়ন্তী না হোক,
শুরু থেকে গুনতে শুরু করা ই বা মন্দ কি?
কুড়িয়ে পাওয়া পঁচিশটা বছর ছোট নাতনির সঙ্গে,
কি বা এমন মন্দ ডিল?