মাঝে মাঝে মনে হয় আমার মধ্যে দুটো, তিনটে, চারটে মেয়ে আছে
মেয়ে কিংবা ছেলে, সবসময় ঠিক ক'রে উঠতে পারি না।
কিন্তু আছে মনে হয় সত্যি। তিন কি চার বা পাঁচ জনা ...
নাকি আরও বেশ কয়েকজন? জানিনা। বুঝে উঠতে পারি না।
"দু'জন তো খুবই স্পষ্ট", বলতেন জেঠিমা, মুচকি হেসে।
"দুপুরে আমার পাশে শুয়ে ঘুমালো একজন আর
হালকা ঘুমে আধখোলা চোখে যাকে পাঁচিলে দেখলাম, সে অন্য।"
না বোঝার ভান করতাম অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে।
আমি তো নই! শুনব কেন?
"উঁহু! ছেলেই দেখেছি গোটা তিনেক", ঠাম্মা বলতেন দাঁত পিষে
"বোসেদের ছেলেকে ওরকম মেরে আসা কোন মেয়েছেলের কাজ বাপু?
আর ওই নেড়ির বাচ্চার পেছনে দিনরাত টই টই, খড়ি উঠছে গায়ে?
আর কেই বা দেখেছে কোনো মেয়েকে বাপের ঘাড়ে চড়ে ফুটবল দেখতে যেতে!
এর যদি একটিকেও মেয়ে বলিস, এই রইলো দন্ডবত তোদের পায়ে।"
এরকম কথা শুনে মন খারাপ করার সময় ছিল না আমার
মিলিয়ে গেছে ঠাম্মার জানা কথার একশ' পনের বারের পূনরাবৃত্তি।
শুধু কি ঠাম্মারই গলায় জোর? আমার প্যাডেল এর জোর বুঝি ক'ম?
খানিকটা যেন গল্প হলেও সত্যি
ওই একটা, দুটো, তিনটে মেয়ের কথা।
মেয়ে? নাকি ছেলে? নাকি শুধুই মানুষ তারা?
সব গোলানো। মন ভোলানো। রঙ্গীন কাঁচের ধাঁধা?
কেও তখনো বসেই থাকে সমুদ্দুরের তীরে
অন্যজন ঘায়েল যখন তোমার কথার বিষে।
একজন রোজ তারায় খোঁজে মায়ায় ভরা চোখ
অন্যজনের থোড়েই কেয়ার! আর যা বলে বলুক অন্যলোক!
একজনকার নৌকো বাঁধা খোয়াই নদীর ধারে
অন্যজনের নদীর সাথে সদাই বিবাদ বাধে।
শহরতলির ঘরে ফেরে ক্লান্ত একজনা
অন্যজনের নেই সে বালাই। নেই ক' ঘরে ফেরা।
গল্প বল', সত্যি বল', যেমন ম'নে ধরে
রাত্রি হ'লে অন্ধকারের সঙ্গে সন্ধি করে।
মেয়ে কিংবা ছেলে, সবসময় ঠিক ক'রে উঠতে পারি না।
কিন্তু আছে মনে হয় সত্যি। তিন কি চার বা পাঁচ জনা ...
নাকি আরও বেশ কয়েকজন? জানিনা। বুঝে উঠতে পারি না।
"দু'জন তো খুবই স্পষ্ট", বলতেন জেঠিমা, মুচকি হেসে।
"দুপুরে আমার পাশে শুয়ে ঘুমালো একজন আর
হালকা ঘুমে আধখোলা চোখে যাকে পাঁচিলে দেখলাম, সে অন্য।"
না বোঝার ভান করতাম অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে।
আমি তো নই! শুনব কেন?
"উঁহু! ছেলেই দেখেছি গোটা তিনেক", ঠাম্মা বলতেন দাঁত পিষে
"বোসেদের ছেলেকে ওরকম মেরে আসা কোন মেয়েছেলের কাজ বাপু?
আর ওই নেড়ির বাচ্চার পেছনে দিনরাত টই টই, খড়ি উঠছে গায়ে?
আর কেই বা দেখেছে কোনো মেয়েকে বাপের ঘাড়ে চড়ে ফুটবল দেখতে যেতে!
এর যদি একটিকেও মেয়ে বলিস, এই রইলো দন্ডবত তোদের পায়ে।"
এরকম কথা শুনে মন খারাপ করার সময় ছিল না আমার
মিলিয়ে গেছে ঠাম্মার জানা কথার একশ' পনের বারের পূনরাবৃত্তি।
শুধু কি ঠাম্মারই গলায় জোর? আমার প্যাডেল এর জোর বুঝি ক'ম?
খানিকটা যেন গল্প হলেও সত্যি
ওই একটা, দুটো, তিনটে মেয়ের কথা।
মেয়ে? নাকি ছেলে? নাকি শুধুই মানুষ তারা?
সব গোলানো। মন ভোলানো। রঙ্গীন কাঁচের ধাঁধা?
কেও তখনো বসেই থাকে সমুদ্দুরের তীরে
অন্যজন ঘায়েল যখন তোমার কথার বিষে।
একজন রোজ তারায় খোঁজে মায়ায় ভরা চোখ
অন্যজনের থোড়েই কেয়ার! আর যা বলে বলুক অন্যলোক!
একজনকার নৌকো বাঁধা খোয়াই নদীর ধারে
অন্যজনের নদীর সাথে সদাই বিবাদ বাধে।
শহরতলির ঘরে ফেরে ক্লান্ত একজনা
অন্যজনের নেই সে বালাই। নেই ক' ঘরে ফেরা।
গল্প বল', সত্যি বল', যেমন ম'নে ধরে
রাত্রি হ'লে অন্ধকারের সঙ্গে সন্ধি করে।
No comments:
Post a Comment