Thursday, August 26, 2021

আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি করছো?

 ..........................................

-অজ্ঞেয় 

অনুবাদ: নয়না 

....................................

আমি জিজ্ঞাসা করলাম 

কি তৈরী করছো তুমি?

ও চোখে চোখে যেন বললো, 

ধোঁয়া মুছে নিয়ে বললো:

আমি কি কোনো কিছু তৈরী  করি, বলুন? 

সব তো নিজে নিজেই তৈরী হয়ে যায়! 

আমি অন্তত তাই শুনেছি!

আপনি বলতে পারেন,

ভগবান ব্যস এইটুকুই ক্ষমতা দিয়েছেন আমাকে।  


আমার সহানুভূতিতে খানিকটা জেদও ছিল :- 

বললাম: কিছু একটা তো নিশ্চয় তৈরী করছো!

আচ্ছা ছাড়ো! ধরে নাও তৈরী করছো না 

কিন্তু কিছু তো একটা করছো - 

সেটা কি?


ও বললো: দেখতেই তো পাচ্ছেন 

আমি ছাল  ছাড়াই 

নুন মাখাই

ডলি

রস নিংড়ে নি'

জোরে জোরে ঘষি

কড়াই এ ফেলে কষি 

ফাটিয়ে ফেলি - 

ফেটাই - 

কুচি কুচি করে কাটি সব কিছু 

আর মশলা গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে দিই 

ডেকচিতে এলো-মেলো ওলোট-পালট করি।  

কিন্তু আমি কিছু তৈরী করি না   - 

তৈরী সব কিছু নিজে নিজেই হয়।  

আমি তাহলে কী করছি? 

একটা ভারী পেট 

আর ছোট মুখ ওয়ালা 

ডেকচিতে সব কিছু ছুঁড়ে ফেলে 

চেপে-চুপে ভরে 

ভাপে সেদ্ধ হতে ছেড়ে দিয়েছি। 

আমি এর থেকে আর বেশি কিছু করিও না কখনো 

কোনোমতে কাজ সারি বলতে পারেন।  


কিন্তু - 

যা পরিবেশন করি, 

আর যাঁদের পরিবেশন করি

তাঁরা কি জানেন 

আমি নিজের সঙ্গে কী করি?

......................................

Original Text:

मैंने पूछा क्या कर रही हो / अज्ञेय

मैंने पूछा

यह क्या बना रही हो ?

उसने आँखों से कहा

धुआँ पोछते हुए कहा :

मुझे क्या बनाना है ! सब-कुछ

अपने आप बनता है

मैंने तो यही जाना है ।

कह लो भगवान ने मुझे यही दिया है ।


मेरी सहानुभूति में हठ था :

मैंने कहा : कुछ तो बना रही हो

या जाने दो, न सही –

बना नहीं रही –

क्या कर रही हो ?

वह बोली : देख तो रहे हो

छीलती हूँ

नमक छिड़कती हूँ

मसलती हूँ

निचोड़ती हूँ

कोड़ती हूँ

कसती हूँ

फोड़ती हूँ

फेंटती हूँ

महीन बिनारती हूँ

मसालों से सँवारती हूँ

देगची में पलटती हूँ

बना कुछ नहीं रही

बनाता जो है – यह सही है-

अपने–आप बनाता है

पर जो कर रही हूँ–

एक भारी पेंदे

मगर छोटे मुँह की

देगची में सब कुछ झोंक रही हूँ

दबा कर अँटा रही हूँ

सीझने दे रही हूँ ।

मैं कुछ करती भी नहीं–

मैं काम सलटती हूँ ।


मैं जो परोसूँगी

जिन के आगे परोसूँगी

उन्हें क्या पता है

कि मैंने अपने साथ क्या किया है ?

Monday, August 23, 2021

আমি চাই

.................................................... 



আমি চাই স্পর্শ বেঁচে থাক

সেই স্পর্শ নয় যা কাঁধ চীরে হঠাৎ

আততায়ীর মতো আমাদের পার করে যায়

বরং সেই স্পর্শ বেঁচে থাক 

যা কোনো লম্বা অজানা যাত্রার শেষে 


পৃথিবীর কোনো এক চেনা কোণায় পৌঁছনোর অনুভূতি দেয়।  


আমি চাই জীবনে আস্বাদ বেঁচে থাকুক  

মিষ্টি আর তেতো নয়

 এমন স্বাদ যা জবর-দখল করে না

বরং বাঁচিয়ে রাখে - 


আমার উদ্দেশ্য সহজ সরল বাক্য বাঁচিয়ে রাখা

যেমন - আমরা সবাই মানুষ!

আমি চাই, এই বাক্যের সততা বেঁচে থাকুক!

রাস্তায় যে স্লোগান শোনা যায়

বেঁচে থাক সে তার প্রকৃত অর্থ নিয়ে।  

আমি চাই নিরাশাও বেঁচে থাক

যা আবার কোনো নতুন আশা জাগিয়ে তোলে

নিজের জন্যে 

আর জীবিত থাক শব্দ 

পাখির মতোই যা কখনো ধরা দেয় না 


ছেলেমানুষি বেঁচে থাক প্রেমে - 

আর কবিদের মধ্যে বেঁচে থাক একটু লজ্জা।  


- মঙ্গলেশ ডবরাল

Image Courtesy: Google/Oprah.com 

https://www.oprah.com/health/health-benefits-of-touching

..............................

मैं चाहता हूँ 

- मंगलेश डबराल

मैं चाहता हूँ कि स्पर्श बचा रहे

वह नहीं जो कंधे छीलता हुआ

आततायी की तरह गुज़रता है

बल्कि वह जो एक अनजानी यात्रा के बाद

धरती के किसी छोर पर पहुँचने जैसा होता है


मैं चाहता हूँ स्वाद बचा रहे

मिठास और कड़वाहट से दूर

जो चीज़ों को खाता नहीं है

बल्कि उन्हें बचाए रखने की कोशिश का

एक नाम है


एक सरल वाक्य बचाना मेरा उद्देश्य है

मसलन यह कि हम इंसान हैं

मैं चाहता हूँ इस वाक्य की सचाई बची रहे

सड़क पर जो नारा सुनाई दे रहा है

वह बचा रहे अपने अर्थ के साथ

मैं चाहता हूँ निराशा बची रहे

जो फिर से एक उम्मीद

पैदा करती है अपने लिए

शब्द बचे रहें

जो चिड़ियों की तरह कभी पकड़ में नहीं आते

प्रेम में बचकानापन बचा रहे

कवियों में बची रहे थोड़ी लज्जा ।


Friday, August 6, 2021

ছোটদের জন্যে চিঠি

 ..........................................................................................

আদরের ছোটরা, আমরা তোমাদের কোনো কাজেই লাগলাম না।  তোমরা চেয়েছিলে আমাদের অত্যন্ত দামী সময় কাটুক, তোমাদের সঙ্গে খেলে। তোমরা চেয়েছিলে আমরাও আমাদের সাথে খেলতে নিই তোমাদের।  তোমরা চেয়েছিলে আমরা তোমাদের মতো নিষ্পাপ হয়ে যাই।  


আদরের ছোটরা, আমরাই তোমাদের বলেছিলাম জীবন আসলে একটা যুদ্ধের মাঠ, যেখানে শুধু লড়াই করে যেতে হয়।  

আসলে আমরাই হাতিয়ারে শাণ দিয়ে গেছি।  

আমরাই শুরু করেছি যুদ্ধ।  

আমরাই রাগে আর ঘৃনায় অন্ধ হয়ে গিয়েছি! 

আদরের ছোট সোনারা, আমরা মিথ্যে কথা বলেছি তোমাদের।  


এ যেন এক অসম্ভব লম্বা রাত।

যেন কোন সুড়ঙ্গ।  

এখান থেকে বাইরে তাকালে 

শুধুমাত্র অস্পষ্ট কিছু দৃশ্য দেখা যায়।  

দেখা যায় শুধু প্রবল হানাহানি আর বিলাপ।  


আদরের ছোটরা, 

আমরাই তোমাদের ওখানে পাঠিয়েছি।  

আমাদের ক্ষমা করে দাও।  

আমরা মিথ্যে বলেছি তোমাদের যে

জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র।  


আদরের ছোটরা শোনো

জীবন আদতে উৎসব আর সেই উৎসবের হাসি হলে তোমরা  

জীবন আসলে এক চির-সবুজ গাছ 

যার ডালপালার ফাঁকে ফাঁকে তোমরা পাখির মতো উড়ছো।  


আমি শুনেছি কোনো কবি বলেছেন, জীবন যেন এক উচ্ছল ফুটবল 

আর ছোটরা যেন তাকে ঘিরে থাকা অনেকগুলি চঞ্চল পায়ের পাতা।


আদরের ছোটরা,  এমনটা যদি এখন নাও হয় 

তোমরা মনে রেখো, 

ঠিক এমনটাই হওয়া উচিৎ।


-মঙ্গলেশ ডবরাল  

অনুবাদ: নয়না 

Image courtesy: Google 

https://news.microsoft.com/en-in/features/microsoft-india-hackathon-2017-franz-gastler-yuwa-football-jharkhand-girls

...........................................................

प्यारे बच्चो हम तुम्हारे काम नहीं आ सके । तुम चाहते थे हमारा क़ीमती

समय तुम्हारे खेलों में व्यतीत हो । तुम चाहते थे हम तुम्हें अपने खेलों

में शरीक करें । तुम चाहते थे हम तुम्हारी तरह मासूम हो जाएँ ।

प्यारे बच्चो हमने ही तुम्हें बताया था जीवन एक युद्धस्थल है जहाँ

लड़ते ही रहना होता है । हम ही थे जिन्होंने हथियार पैने किये । हमने

ही छेड़ा युद्ध हम ही थे जो क्रोध और घृणा से बौखलाए थे । प्यारे

बच्चो हमने तुमसे झूठ कहा था ।

यह एक लम्बी रात है । एक सुरंग की तरह । यहाँ से हम देख सकते

हैं बाहर का एक अस्पष्ट दृश्य । हम देखते हैं मारकाट और विलाप ।

बच्चो हमने ही तुम्हे वहाँ भेजा था । हमें माफ़ कर दो । हमने झूठ कहा

था कि जीवन एक युद्धस्थल है ।

प्यारे बच्चो जीवन एक उत्सव है जिसमें तुम हँसी की तरह फैले हो ।

जीवन एक हरा पेड़ है जिस पर तुम चिड़ियों की तरह फड़फड़ाते हो ।

जैसा कि कुछ कवियों ने कहा है जीवन एक उछलती गेंद है और

तुम उसके चारों ओर एकत्र चंचल पैरों की तरह हो ।

प्यारे बच्चो अगर ऐसा नहीं है तो होना चाहिए

Thursday, June 24, 2021

তুমিই সেই নারী

......................................................
তুমি যদি একদিন এমন নারী হয়ে ওঠো 
পুরুষ যার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতে চায়
তুমি ওদের তাকিয়ে থাকতে দিতে পারো - 
কিন্তু সেই দৃষ্টিকে কখনই বাড়ানো হাত ভেবে ভুল করো না
অথবা ভেবে নিও না কোনো জানলা কিংবা আয়না।  

ওদের দেখতে দিও 
নারী আসলে কেমন দেখতে হয়
হয়তো কোনও নারীকে ওরা আগে ঠিক করে দেখেইনি

একদিন যদি তুমি এমন নারী হয়ে ওঠো -  
পুরুষ যার ছোঁয়া পেতে চায়
তুমি ওদের তোমাকে ছুঁতে দিতে পারো

কখনো কখনো বুঝতে পারবে ওরা ঠিক তোমাকে ছুঁতে চায়নি।  
ওরা নাগাল পেতে চেয়েছিল কোনও বোতলের 
কোনও দরজার 
বা নিত্যদিনের নিশ্চিন্ত স্যান্ডউইচের 
কিংবা পুলিৎজার পুরস্কারের
অথবা অন্য কোনও নারীর।
কিন্তু ওদের হাত প্রথমে তোমাকে নাগালে পেয়েছে।   


তুমি নিজেকে ওদের অভিভাবক ভেবে ভুল করো না
স্বপ্ন-সুন্দরী ভেবেও নয়
বা কোনো প্রতিশ্রুতি।  
তুমি না ওদের শিকার
না জলখাবার।  


তুমি একজন পূর্ণাঙ্গ নারী।  
চামড়া, হাড়, শিরা, ধমনী,
চুল আর ঘামে মাখামাখি এক নারী
তুমি কোনও রূপক নও
নও কোনও অজুহাত,
এমনকী কোনো কৈফিয়ৎও নও

তুমি যদি একদিন এমন নারী হয়ে ওঠো
যাকে পুরুষ আলিঙ্গন করতে চায়
তুমি আলিঙ্গন করতে দিতে পারো।  

পুরুষরা সারাদিন নিজেদের শরীরটাকে  টানটান সোজা করে রাখে 
আর হাজার বছরের বিবর্তনের পরেও এই কৃত্রিম ঋজুতায়   
দিনশেষে ওদের পেশী শক্ত হয়ে যায়
টান ধরে হাতে, শিরদাঁড়ায়। 
 
শুধুমাত্র কিছু পুরুষই  জানে নিজের দেহকে প্রশ্নচিহ্নর মতো বাঁকিয়ে
নারীকে আলিঙ্গনে মুড়ে রাখতে কেমন লাগে
শুধু কিছু পুরুষই পারবে স্বীকার করে নিতে 
যেসব উত্তরগুলোর নাগাল,
ওরা এতদিনে সহজেই পেয়ে যাবে ভেবেছিলো ,
আজও সেই সব উত্তর ওদের কাছে নেই;
কিছু পুরুষ তোমাকে সমাধানের  মতো  আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইবে 
 কিন্তু ভুলে যেও না, তুমি সমাধান নও।  

তুমি সমস্যাও নও
কবিতা নও
ধাঁধা নও, উপহাসও নও
তুমি শেষ কথাও নও!

শোনো, তুমি একদন যদি এমন নারী হয়ে উঠতে চাও
পুরুষ যাকে ভালোবাসতে চায়,
তুমি ওদের ভালোবাসতে দিতে পারো।  

কিন্তু পাওয়া ভালোবাসা আর নিজে ভালোবাসা এক না
যখন তুমি নিজে ভীষণ ভালোবেসে ফেলো
সে যেন ছোট্ট কোনও মেয়ের এই ডোবা, ওই ডোবায় সাঁতার কেটে
 হঠাৎই মাঝ-সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়া -    
যেন হঠাৎ বুঝতে পারা আমারও দুটো হাত আছে!
আর সব দর্শক-দীঘা খালি হয়ে যাবার পর,
সেই দুটো হাত বাড়িয়ে মল্লভূমির দড়ি আঁকড়ে থাকা।  

সময় নষ্ট কোরো না এই ভেবে যে 
তুমি সেই ধরণের নারী কি না
পুরুষ যাকে কষ্ট দেবে।  
যদি কোনও পুরুষ চলে যায় তোমার হৃদয়কে তীক্ষ্ণ সাইরেনে পরিণত করে 
হকে জানে! তুমি হয়তো সুর মিলিয়ে তার-সপ্তকে গাইতে শিখে যাবে - 

সমুদ্রের নোনাজলের আমাদেরকে দমবন্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা সত্ত্বেও 
সমুদ্রকে না ভালোবেসে কি বাঁচা যায়?

নিজের সব সিন্ধান্তের জন্যে নিজেকে ক্ষমা করে দিও
সেগুলোর জন্যেও
যাদের তুমি রাত্রে আদর করে ঘুম পাড়ানোর সময় "ভুল" বলে ডাকো!

আর হ্যাঁ - 
তুমিই সেই নারী 
যে এখনো নিজের জন্যে এক টুকরো জায়গা খুঁজে চলেছে
কিন্তু,  শুধু একবার দুনিয়ার সব মূর্তিগুলো ভেঙে পড়তে দাও
দেখবে তুমি নিজেই নিজের সেই জায়গা!

তুমি দেখবে - 
তুমিই সেই নারী, 
যে নিজেই গড়ে নিতে পারে -
কারণ গড়ে নেবার জন্যেই তোমার জন্ম!


Original: The Type by Sarah Kay
Translation: Nayana
Artwork: Vandana Tulachan, Nepal
Image of the Poet: The Daily

Saturday, June 19, 2021

মুচিরাম

 - সুদামা পাণ্ডে 'ধূমিল' 

...........................................................

Image courtesy: Google
বাটালি থেকে চোখ তুলে 

    আমাকে এক মুহূর্ত দেখলো

    ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত 

আর তারপর মৃদু স্বরে হেসে বললো ―

বাবু, সত্যি কথা বলি ―

আমার চোখে কেউ ছোট নয়

কেউ বড়োও নয়

আমার কাছে প্রত্যেকটা মানুষ যেন আদতে এক জোড়া জুতো

যারা আমার সামনে অপেক্ষা করে আছে জরুরী মেরামতের জন্যে।  

আর  আসল কথা কী জানেন?

যে যেমনই হোক, যেখানেই থাকুক 

আজকাল কোনো মানুষই জুতোর মাপের বাইরে নয়


তবুও আমি সবসময় মনে রাখি যে

পেশাদারী হাত আর ফাটা জুতোর মধ্যেখানে,

কোথাও না কোথাও একটা আদত মানুষ লুকিয়ে আছে

যার শরীর- মনের ওপর দিয়ে সেলাই এর ফোঁড় চলে

যে ফাটা জুতোর কোন থেকে উঁকি মারা কড়ি আঙ্গুলে লাগা আঘাত

নিজের বুকে হাতুড়ির ঘা এর মতো করে সহ্য করে।    


অনেক রকম জুতো আসে আমার কাছে 

তারা আমাকে নানা রকম মানুষের গল্প শোনায়  

ওরা আমাকে বলে, প্রত্যেকটা মানুষের আলাদা চেহারা

আর সবার আলাদা আলাদা ধরণ!

যেমন ধরুন, এমন এক জোড়া জুতো নিয়ে এলো কেউ

যাকে ঠিক জুতোও বলা যায় না - 

যেন কিছু চাকতির একটা মোটা থলি!

তাকেও কোনো কোনো মানুষ পায়ে দেয় কিন্তু 

সেই মানুষ  যাকে গুটিবসন্ত খুঁটে খুঁটে খেয়েছে

সেই মানুষের জীবনে আবার আশা আকাঙ্খা - 

যেন টেলিফোনের পোস্টে আটকে থাকা

ফড়ফড় শব্দে ঘুড়ির উড়ান!


   আমি বলতে চাই তাকে ―

   "কেন যে পয়সা জলে ফেলবে, বাবু?"

কিন্তু আমার আওয়াজ কাঁপে

আমি বুঝতে পারি ― ভেতর থেকে যেন  কেউ বলে ওঠে

"তুই কি রকম মানুষ রে? নিজের পেশার ওপর থুতু ফেলিস্?"

বিশ্বাস করুন 

    সেই সময় আমি ওই চাকতিগুলোর জায়গায়

নিজের চোখ সেলাই করি - 

আর নিজের পেশায় আটকে থাকা এই মানুষটাকে

কোনোরকমে সহ্য করি!


আরেক জোড়া জুতো আসে কখনো কখনো  - 

যা দিয়ে পা সাজিয়ে, মানুষ বিকেলে ঘুরতে বেরোয়

সেই মানুষ  বুদ্ধিমানও নয়  

সময় নিয়ে সচেতনও নয়  

তার চোখ ভর্তি শুধু লোভ

আর আছে হাত ঘড়ি

তার যাবার কোথাও নেই 

কিন্তু তাড়াহুড়ো সারা শরীরে

স্বভাবে সে এক্কেবারে ব্যবসায়ী

বা সওদাগর

কিন্তু কায়দা এমন, যেন হিটলারের নাতি!

"এটা বাঁধো, ওটা কাটো, এখানে ঠোকো, ওখানে মারো

ঘষে দাও, আরো  চকচকে করো

জুতোটাকে এমন করে দাও যেনো ...

উফঃ! বড্ডো গরম বাবা!"

রুমাল দিয়ে হাওয়া করতে থাকে নিজেকে

প্যাচপ্যাচে গরমকে গোটা চারেক গালি দিতে দিতে 

রাস্তার এ জাতি, সে জাতির লোকেদের

বাঁদরের মতো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে! 


মোদ্দা কথা হলো, পাক্কা একটি ঘন্টা খাটিয়ে নেয়

কিন্তু পয়সা দেবার সময় হলেই,

বেমালুম মাথা নেড়ে এড়িয়ে যায়!

বলে, "ভদ্রলোক পেয়ে ডাকাতি করছো!"

  তাড়াতাড়ি কয়েকটা সিকি ফেলে এগিয়ে যায় 

আর কয়েক পা এগোতে না এগোতেই

চিৎকার করে লাফিয়ে ওঠে! 

 

আসলে কেউ যখন পেশার ওপর আঘাত করে

তখন একটা না একটা ছোট চোরা পেরেক

জুতোর মধ্যে লুকিয়ে রয়ে যায়

আর সুযোগ পাওয়া মাত্র

    ফুটে যায় আঙুলে ।  


কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি কোনো ভুল ধারণা নিয়ে বেঁচে আছি

আমি সবসময় মনে রাখি যে,

    জুতো আর আমার পেশাদারী হাতের মধ্যেখানে 

কোথাও না কোথাও এক আস্ত মানুষ আছে

যার ওপরে নিত্য সেলাইয়ের ফোঁড় পড়ে  

আর যে জুতো থেকে উঁকি মারা আঙুলে লেগে যাওয়া চোট

নিজের বুকে

হাতুড়ির ঘা এর মতো বয়ে চলে। 


আর বাবু, আসল কথা কি জানেন -

বেঁচে থাকার পিছনে যদি কোনো কারণই না থাকে  

তাহলে নামাবলী বেচে বা বেশ্যাদের দালালী করে

টাকা রোজগারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।  

আর ঠিক এই জায়গাটাতেই প্রত্যেকটা মানুষ

নিজের পেশাকে পেছনে ফেলে

ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়  ।  

সব মানুষের মতো ভাষা ওকেও ছিঁড়ে খায়

শীত গ্রীষ্ম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারে


আপনি এই বসন্ত ঋতু কথাই ধরুন না কেন,

বসন্ত এই দিনগুলোকে এমন টেনে টুনে বিছায় 

যেন কোনো তাঁতের ওপর খাটিয়েছে - 

আর ওই দেখুন,

গাছের ওপর হাজার হাজার লাল লাল পাতার বাহার

যেন রোদে শুকানোর জন্যে রেখে দিয়েছে 

সত্যি বলছি ―

    সেই সময় বাটালিকে মুঠোর মধ্যে ধরে কাজ করে যাওয়া ভারী মুশকিল 

চোখ কোথাও চায় - 

আর হাত যায় অন্য কোথাও ।  

কোনো গোমড়া মুখো বাচ্চার মতোই তখন 

কাজে আসতে এক্কেবারে রাজী হয় না আমার মন।  


আমার কি মনে হয় জানেন?    

এই ভদ্র সভ্য চামড়ার পেছনে

যেন একটা আস্ত জঙ্গল লুকিয়ে আছে

যা গাছকে হাতিয়ার বানিয়ে 

অত্যাচার করে চলে মানুষের ওপরে 

আর এটা শুনে চমকে ওঠার কিছু নেই, 

এটাও একটা ভেবে দেখার মতো বিষয়! 


কিন্তু, জীবনকে যারা শুধু বই দিয়ে মাপে

সত্যি আর অনুভূতির মধ্যেখানের

কোনো রক্তাল্প দুর্বল মুহূর্তে সেই ভীরু-কাপুরুষ মানুষ 

হয়তো খুব সহজেই বলে উঠবে

"বন্ধু, তুই মুচি না! তুই কবি!" 


আসলে সে এক জব্বর ভুল ভাবনার শিকার

সে ভাবে মানুষের পেশাই জাতি নির্ধারণ করে

আর ভাষার ওপর মানুষের নয়, 

যেন কোনো জাতির অধিকার থাকে !


যখন কী না আসল কথা হলো

আগুন সবাইকেই জ্বালায়,

সত্যি সবার ভেতর দিয়ে সমান ভাবে বয়ে চলে 

কেউ কেউ সেই সত্যি বলার শব্দ খুঁজে পেয়েছে  

আর কেউ কেউ অক্ষরের সামনে এখনো অন্ধ!

তারা সব অন্যায় চুপচাপ মেনে নেয়,  

পেটের আগুনকে ভয় পায় - 

যদিও আমি জানি "একটা 'না' বলে চিৎকার"  

আর "একটা বুঝদার চুপ"

দুটোর আদতে একই মানে -

কেননা ভবিষ্যৎ  গড়ে তুলতে, "চুপ" আর "চিৎকার"

নিজের নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে, 

নিজেদের ভূমিকা পালন করে চলে।  


original: http://bolbihar.in/2017/07/09/mochiram-a-poetry-by-dhoomil/

Wednesday, May 5, 2021

Pain

...................

Ankita Ghosh

Did you know that pain and pressure follow the same neural path to your brain?
Silly, that’s why when you are in pain,
and someone presses your head or feet or arms
you feel relieved.
Temporary, yes, but still, relief.
I crave that relief NOW.
My soulmate from a distant land; she talked about a probable death the other day.
Tell you what, she’s the pragmatic one in our relationship.
She’s the one who has already started saving money and time

for our fictitious trip to Cuba;
where we plan to wear red dresses
and dance on the streets till wee hours.
Silly, right?

The way she talked about death was like the way she talks about most things except heartbreak
calm, matter-of-fact and piercing.
As if she knew exactly how deep a wound that would create
but was nonchalant about it.
I want that relief NOW.
Because I am pained by violence, debauchery, recklessness, emotional bankruptcy and sundry.
The list is long.
More importantly, dry.
Just like my itchy throat and mouth.
I want to scream, but all that’ll come out is a hollow sound.
The safety of this bubble I live in, hurts my limbs.
My arms want to reminisce about the days when we could fly, pretending they were wings.
Alas, no one can fly anywhere now.
We are in an eternal lockdown.

I need that relief NOW.
Because death is so inevitable that it’s boring.
For everything else there's Mastercard.
I mean the reaction buttons on social media,
that's the only currency that is gaining strength.
Those tiny little faces showing frivolous, animated reactions
are stronger than bitcoin, if you think about it.
I want my soulmate to live.
I want us to dance together before we get Arthritis.
I want her whole commune of friends to laugh out loud, just like her utensils do when we talk on the phone for hours.
Silly, right?

May all people who meant harm to others, die.
May all who listened patiently and gave only love and care, live and dance
before Arthritis strikes.
May we hold each other's hands so strongly, that the pressure makes the pain go away.
May we get to cup our palms around each other’s faces in loving embrace,
before time dies.

Wednesday, April 28, 2021

তুমি আমার সাথে উৎসব পালন করবে না?

......................................................................................................

লুসিল ক্লিফটন 


আমি যে জীবন গড়ে তুলতে পেরেছি তার 

উৎসব পালন করবে না আমার সাথে?

আমার তো কোনো প্রেরণা ছিল না - 

ব্যাবিলনে জন্মেছিলাম 

একে অশ্বেত! তার ওপর মহিলা! 

আর কাকেই বা পেয়েছিলাম আমি?

তাই আমার আরও আমি হয়ে ওঠা ছাড়া 

আর কোনো উপায় ছিল না।  



আমি মানসচক্ষে দেখেছি

এই মাটির পৃথিবী আর তারা ভরা আকাশের মাঝের সেতুর ওপরে দাঁড়িয়ে

আমি এক হাতে শক্ত করে ধরে রেখেছি আমার অন্য হাত;


এসো, আমার সাথে উৎসব পালন করো 

কারণ, যে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে প্রতিনিয়ত,

সে হেরে গেছে!


..................................................................................

Won’t you celebrate with me 

BY LUCILLE CLIFTON

won't you celebrate with me

what I have shaped into

a kind of life? I had no model.

born in babylon

both nonwhite and woman

what did I see to be except myself?

I made it up

here on this bridge between

starshine and clay,

my one hand holding tight

my other hand; come celebrate

with me that everyday

something has tried to kill me

and has failed.


क्या तुम मेरे साथ जश्न नहीं मनाओगे?

........................................................................

- लुसिल क्लिफ्टन 

क्या तुम मेरे साथ जश्न नहीं मनाओगे 

इस ज़िन्दगी का, जिसे मैंने ढाला 

बिलकुल अपने हिसाब से 

मेरी कोई और प्रेरणा स्रोत तो थी नहीं।



बेबीलोन में जन्मी -

अश्वेत और ऊपर से महिला 

मैंने देखा ही किसे अपने अलावा

जो मैं उनके जैसा बनती?




मैंने अपनी कल्पना में देखा 

इस मिट्टी से ले कर उस आकाशगंगा के बीच जो पुल है 

उस पर मैंने ही मेरा हाथ कसके पकड़ा हुआ है;

आओ जश्न मनाओ मेरे साथ 

क्योंकि वो हर रोज़ मुझे मार डालना चाहता था 

और वो नाकामयाब रहा।



..................................................................................

Won’t you celebrate with me 

BY LUCILLE CLIFTON

won't you celebrate with me

what i have shaped into

a kind of life? i had no model.

born in babylon

both nonwhite and woman

what did i see to be except myself?

i made it up

here on this bridge between

starshine and clay,

my one hand holding tight

my other hand; come celebrate

with me that everyday

something has tried to kill me

and has failed.

Friday, April 2, 2021

मैंने हाथ बढ़ाकर रखा है

==============================

~सुभाष मुखोपाध्याय

ठीक तुम्हारी घृणा की ओर
मैंने टिका रखी है
अपनी प्यार भरी नज़र।

जहाँ चलने का मतलब बस अंतहीन गलियों में गोल गोल घूमना
जहाँ आगे बढ़ने का मतलब दीवार पर सिर फोड़ना
जहाँ संघर्ष का एक और नाम है ख़ुद के ही टुकड़े कर डालना
तुम ऐसे किसी अँधियारे गलियारे में खड़े हो कर,
अपनी त्रस्त आँखों की आग से
मुझे भस्म कर देना चाहते हो।
और मैं, मेरी तरफ
तुम्हारे फेंके हुए अभिशाप लपक कर,
तुम्हारी तरफ़ भेज रहा हूँ
ढेर सारी शुभकामनायें!


मैं अपनी आवाज़ बुलंद करके तुम्हें बता रहा हूँ
कौन से खुले रास्ते के ठीक कौन सी जगह
मैं सिर्फ तुम्हारे लिए हाथ बढ़ाकर खड़ा हूँ -
ता कि बिलकुल दूसरी तरफ मुंह फेरकर भी
तुम मेरा ही हाथ पकड़ लो।








Translation:
Nayana

Original
হাত বাড়িয়ে রেখেছি~
~সুভাষ মুখোপাধ্যায়
==============================
তোমার ঘৃণার দিকে
আমি ফিরিয়ে রেখেছি
আমার ভালোবাসার মুখ

যেখানে গতি বলতে শুধুই ঘুরপাক
এগোনো মানেই দেওয়ালে মাথা ঠেকে যাওয়া
সংগ্রামের আরেক নাম যেখানে নিজেকে ভাঙা
তুমি সেই অন্ধগলিতে দাঁড়িয়ে
বিপন্ন চোখের আগুনে চাইছ
আমাকে ভস্ম করে দিতে

আর আমি
তোমার অভিশাপগুলো লুফে নিয়ে
ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিচ্ছি আমার শুভেচ্ছা
আমি গলা তুলে জানান দিচ্ছি

খোলা রাস্তার কোন মুখে
আমি তোমারই জন্যে দাঁড়িয়ে
হাত বাড়িয়ে রেখেছি---
অন্যদিকে মুখ ফিরিয়েও
তুমি আমার হাত যাতে ধরতে পারো।।

Wednesday, March 17, 2021

আমি তবুও আবার উঠে দাঁড়াই

............................................................................

আমাকে  ইতিহাসের পাতায় ছোট করে দেখাতে পারো 

তোমাদের তিক্ত, বক্র মিথ্যে ব্যবহার করে  

আমাকে মথে ফেলতে পারো পায়ের তলার কাদার মতো  

কিন্তু ধুলোর মতো গা ঝেড়ে আমি আবার উঠে দাঁড়াবোই।  



আমার এই চঞ্চলতা বুঝি অস্থির করছে তোমাদের?

এমন দুঃখে ম্রিয়মান কেন?

আজকাল আমি তো এমন ভাবে হাঁটি 

যেন বসার ঘরে কয়েকটা তেলের খনি আছে আমার।  


ঠিক সূর্য আর চাঁদ ওঠার মতো 

ঠিক জোয়ার ভাঁটার নিশ্চয়তায় 

ঠিক যেমন আশার উচ্ছাস চতুর্দিকে ফেটে পড়ে 

ঠিক তেমনই নিশ্চয়তায় আমি উঠে দাঁড়াই! 


তুমি কি আমার ভেঙে পড়া  দেখতে চেয়েছিলে? 

দেখতে চেয়েছিলে আমার নীচু মাথা আর নত চোখের দৃষ্টি?

চেয়েছিলে চোখের জলের মতোই অন্তর্মনের কান্নায় 

ভেঙে পড়ুক আমার কাঁধ? 

 

আমার এই উদ্ধতভাব তোমাকে রাগিয়ে তুলছে বুঝি? 

আমি বুঝি, তোমার কী ভয়ানক কষ্ট হয় মেনে নিতে 

যখন আমি এমন করে হেসে উঠি যেন 

উঠোনে আমার সোনার খনি আছে।  


তোমরা আমাকে শব্দের তীরে বিঁধতে পারো 

চোখ দিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারো 

আমাকে মেরেও ফেলতে পারো ঘৃণা দিয়ে 

কিন্তু তাও, বাতাসের মতোই, উঠে আমি পড়বোই।  


আমার যৌন-আবেদন কি তোমাদের বিচলিত করে? 

তোমার কি আশ্চর্য লাগে 

যে আমি এমন ভাবে নেচে উঠি যেন 

আমার ঊরুসন্ধিতে হীরের ছড়াছড়ি? 


ইতিহাসের লজ্জার আঁতুরঘর ভেঙে

আমি উঠে দাঁড়াই 

অতীতের যন্ত্রণার শিকড় ছিন্ন করে 

আমি উঠে দাঁড়াই 

আমি অন্তহীন কালো সমুদ্র, প্লব আর বিশাল 

ফুলে, ফেঁপে - ধারণ করি প্লাবন।  


আতঙ্ক আর সন্ত্রাসের রাত্রি পেরিয়ে

আমি উঠে দাঁড়াই।  

কোনো এক স্পষ্ট, রোদ ঝলমলে ভোরে

আমি আবার উঠে দাঁড়াই।  

আমার পূর্বসূরীদের দেওয়া উপহার হাতে নিয়ে 

আমি হয়ে উঠি 

কোনো এক ক্রীতদাসের অবিনশ্বর আশা আর স্বপ্ন।  

আমি উঠি।  

আমি উঠি।  

আমি আবার উঠে দাঁড়াই।  



The Original

https://www.poetryfoundation.org/poems/46446/still-i-rise

जन्मभूमि आज

...............................................................................

 तुम एक बार ज़मीन की ओर देखो 

और एक बार इंसानों की ओर।  


अभी भी सियाह रात का अंत नहीं हुआ

घुप अँधेरा अभी भी तुम्हारे सीने पर रखा है

किसी चट्टान की तरह, 

और तुम सांस भी नहीं ले पा रहे हो 

सिर के ऊपर एक भयंकर काला आसमान 

अभी भी किसी शेर की तरह पंजा ताने बैठा है।  


तुम किसी भी तरह इस चट्टान को हटा दो 

और उस भयंकर आसमान को शांत स्वर में समझा दो 

कि तुम डरे नहीं हो उस से।  


ज़मीन तो आग ही उगलेगी न

अगर तुम फ़सल उगाना नहीं जानते! 

अगर तुम बारिश लाने का मन्त्र ही भूल जाओ

तब तुम्हारी मातृभूमि बस एक रेतीला रेगिस्तान है!  

जिस इंसान को गाना नहीं आता,

प्रलय आने पर वो गूंगा और अँधा हो जाता है।  


तुम ज़मीन की ओर देखो, 

वो इंतज़ार में है -

तुम इंसान का हाथ अपने हाथ में लो, 

वो कुछ बोलना चाहता है।



Poem by Birendra Chattopadhyay
Translation by Nayana 
......................................................................................................

Original 

জন্মভূমি আজ

একবার মাটির দিকে তাকাও

একবার মানুষের দিকে। 

 এখনো রাত শেষ হয়নি;

অন্ধকার এখনো তোমার বুকের ওপর

কঠিন পাথরের মতো, তুমি নিশ্বাস নিতে পারছ না। 

মাথার ওপর একটা ভয়ংকর কালো আকাশ

এখনো বাঘের মতো থাবা উঁচিয়ে বসে আছে। 

তুমি যে ভাবে পার এই পাথরটাকে সরিয়ে দাও

আর আকাশের ভয়ংকরকে শান্ত গলায় এই কথাটি জানিয়ে দাও

তুমি ভয় পাওনি। 


মাটি তো আগুনের মতো হবেই

যদি তুমি ফসল ফলাতে না জান

যদি তুমি বৃষ্টি আনার মন্ত্র ভুলে যাও

তোমার স্বদেশ তাহলে মরুভূমি। 

যে মানুষ গান গাইতে জানে না

যখন প্রলয় আসে সে বোবা ও অন্ধ হয়ে যায়। 

তুমি মাটির দিকে তাকাও,সে প্রতীক্ষা করছে;

তুমি মানুষের হাত ধরো, সে কিছু বলতে চায়। 

বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

Monday, March 15, 2021

यादों का शहर

 .........................................

एक दिन कोई आ कर कहेगा,

"तुम्हारी बैठक में एक खटिया रखने की जगह है।
मैं आज से वहीं अपनी खटिया लगाकर सोऊंगा,
मुझे पेड़ के नीचे सोना अब और अच्छा नहीं लगता!"

एक दिन कोई आ कर कहेगा,
"अब से तुम्हारी थाली में से मैं तीन मुट्ठी खाना उठा लिया करूँगा।
क्यूंकि मेरी कोई थाली ही नहीं है!!
मेरा भूखा पेट जाने कब से जल रहा है!
निरंतर!
उक्ता गया हूँ मैं उससे!
मुझे और अच्छा नहीं लगता!"

बरामदे के नीचे से धूल में सने तीन बच्चे दौड़ कर आएंगे और बोलेंगे
"सुनो, हमें बासी रोटी नहीं चाहिए, पांच पैसे भी नहीं,
हमे नीली हाफ-पैंट और सफ़ेद शर्ट पहना दो!
बाल बना दो
हल्के से हमारे गाल सहलाकर बोलो, 'ध्यान से......!'
हम भी स्कूल जाऐंगे!"

एक दिन कोयला-खदान के अँधेरे से उठकर आएगा,
एक काला-सा इंसान
और हैरान हो कर कहेगा,
"अरे! मेरे लिए कोई शोकसभा नहीं रखी तुमने?

डायनामाइट लेकर मैं गया था गहरे पाताल में।
मैं वापिस नही आया, पर तुम्हारे लिए आग तो आई है न!
फिर मेरे नाम से कोई रास्ता क्यों नहीं है तुम्हारे शहर में?
ये रास्ते किसके नाम से है?
इन्हें तो मैं नही जानता !"

एक दिन किसी धान के खेत से कीचड़ में सना एक इंसान खड़ा होगा
और अपने से बहुत ऊंचा होकर, ऊंची आवाज़ में बोलेगा,
"तुम, जो कभी नहीं उतरे कीचड़-पानी में
तुमने कभी नहीं सुनी मिटटी में कोई आवाज़!
तुम, जिसको पता भी नहीं कितना पसीना-खून-चिंता मिलाने पर
हरी घास, सुनहरी फसल में तब्दील होती है
और तुम ही फसल ले कर राहजनी करते हो
और भूख से बिल्खते रह जाते है मेरे बच्चे!
तुम्हे शर्म नहीं आती?"
"आ रहा हूँ मैं..... "

P.C. Sebastiao Salgado

The Original

স্মৃতির শহর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
একদিন কেউ এসে বলবে তোমার বসবার ঘরে একটা চৌকি পাতার জায়গা আছে আমি ওইখানে আমার খাটিয়া এনে শোব আমার গাছতলা আর ভাল্লাগে না ! একদিন কেউ এসে বলবে তোমার ভাতের থালা থেকে আমি তিন গ্রাস তুলে নেব কারণ আমার কোন থালাই নেই আমার অনাহার একঘেয়েমির মত ধিকধিক করে জ্বলছে আর আমার ভাল্লাগে না ! গাড়ি বারান্দার তলা থেকে ধুলো মাখা তিনটে বাচ্চা ছুটে এসে বলবে ওগো, আমরা বাসি রুটি চাই না, পাঁচ নয়া চাই না আমাদের ছাই রঙের হাফ প্যান্ট আর সাদা শার্ট পরিয়ে চুল আঁচড়ে দাও আমাদের গাল টিপে দিয়ে বলো,সাবধানে – আমরাও ইস্কুলে যাব ! একদিন কয়লাখনির অন্ধকার থেকে উঠে আসবে একজন কালো রঙের মানুষ সে অবাক হয়ে বলবে একি, আমার জন্য শোকসভা নেই কেন? ডিনামাইট নিয়ে আমি গিয়েছিলুম গভীর থেকে আরও গভীরে আমি ফিরিনি, কিন্তু তোমাদের জন্য আগুন এসেছে আমার নামে তোমরা কেন নাম রাখো নি শহরের রাস্তার তবে এসব রাস্তা কাদের নামে, তাদের তো চিনি না। একদিন ধান খেতে কাদা-জল মেখে দাঁড়ানো একজন মানুষ নিজের চেয়ে আরো অনেক লম্বা হয়ে উঠে গলা তুলে বলবে, তোমরা যারা কোনদিন কাদা-জল মাখো নি মাটিতে শোনোনি কোন আওয়াজ জানো না ঘাম-রক্ত-উৎকন্ঠায় সবুজ হয় সোনালি সেই তোমরাই শস্য নিয়ে রাহাজানি কর আর আমার সন্তানেরা থাকে উপবাসী, তোমাদের লজ্জা করে না? আমি আসছি... ।

Who is Fumbling on Forgiveness After All?

It has been a long time since I have been musing on this topic. I wanted to write on it quite a few times but I, even I, fear being misunder...